মাঝে মাঝে আমাদের এমন হয় যে হটাৎ দেখে চেনা চেনা লাগে। কিন্তু সে কে সেটা মনে করতে পারি না। কিংবা মুখ দেখে চিনলেও ঐ ব্যক্তির নাম স্মরন করতে পারি না। নামটা মনের মধ্যে থাকলে মস্তিষ্ক তা কেচ করতে পারছে না। তাছাড়াও কোন কাজের জন্য বাইরে এসেছেন তা ভুলে গেলেন। প্রায়ই আমাদের এমন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। চলুন জেনে নেই এ থেকে মুক্তির সেরা ৫ টিপস:
শারীরিক ব্যায়াম এবং মেডিটেশন করা
ব্যায়ামের ফলে পেশী শক্তিশালী হয়, পাশাপাশি মস্তিষ্কেরও বৃদ্ধিসাধন হয়। এক্ষেত্রে মূলত মস্তিষ্কে কোষ এর পরিমান বাড়ে। এর পাশাপাশি অক্সিজেন এবং গ্লুকোজ এর পরিমান বৃদ্ধি পায়। এই কারনে আমরা অনেক লোককে পড়া না মুখস্থ থাকলে হেটে হেটে পড়তে দেখি। তবে খোলা স্থানে ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কে ভিটামিন ডি সরবারাহ হয়। অন্যদিকে মেডিটেশন মনোযোগ স্থির রাখতে সহায়ক। ফলে কাজে ফোকাস ঠিক থাকে।
দৈনিক একমুঠো করে বাদাম খান
বাদাম, মাছ আমাদের মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী। প্রত্যেক দিনের খাবার তালিকায় মধ্যে ১০-২০টি বা একমুঠো পরিমান বাদাম, কুমড়ার বীজ খান। তেলজাতীয় সকল খাবারগুলো মস্তিষ্কের উপকারী। তবে বেশি পরিমানে এগুলো খাওয়া যাবে না। চিনি খাওয়া একদম কমিয়ে দিন। বেশি বেশি পানি পান করুন।
অল্প শব্দে গান শুনুন
গান শোনার মাধ্যমে যে শব্দ গুলো শুনবেন তা আপনি সহজে ভুলবেন না। যদি আপনার প্রয়োজনীয় বিষয় গানের মাধ্যমে যদি শুনতে পারেন তাহলেতো কোন কথাই নেই। তাছাড়াও গান শুনলে মস্তিষ্ক ফ্রেশ থাকে। এর পর কাজে মনোযোগ ফিরে আসে। তাই এক্ষেত্রে মাঝে মাঝে গান শোনা যেতেই পারে।
ভালভাবে দেখে কোন কিছু পড়া
যখন আপনি কোন পড়া বা অন্যকিছু ভালভাবে দেখে পড়বেন, তা আপনার অনেক দিন মনে থাকবে। কোন কিছু মনে রাখার জন্য সবচেয়ে জরুরি হল মনযোগ। মনযোগ দিয়ে দেখলে সেটা আপনার স্মৃতিতে রয়ে যাবে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে
সকালে ঘুম থেকে উঠলে আমাদের মস্তিষ্ক ঠান্ডা থাকে। এসময় আমরা যাই করি না কেন, সে কাজে আমাদের মন বসে। এবং কাজ করে খুব আনন্দ পাওয়া যায়। এছাড়াও পড়া মুখস্ত করার ভাল মাধ্যম হল সকালে পড়া। যাদের কোন ক্রমেই পড়া মনে থাকে না, তারা সকালে ঘুম থেকে উঠে পড়লে অধিক সুফল পাবে। এ সময় আপনি যে কাজই করবেন তা আপনার মস্তিষ্কে স্থায়ী হবে।
0 Comments