মাথাব্যথা বলতে কেবল মাইগ্রেন ই বোঝায় না। মাথাব্যথার কিছু ধরন রয়েছে। কিছু বিষয় মতে মাথাব্যথার পৃথক পৃথক নাম করা হয়েছে। তবে কি কারনে মাথায় ব্যথা হয় তা আমরা নির্ধারন করতে পারলে, সহজেই মাথাব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারব।
মাথার কোন এক পাশ ব্যথা
মাথার কোন এক পাশ অর্থাৎ বাম অথবা ডান পাশে ব্যথা হলে করে এবং মাথায় স্পন্দন অনুভব হয়ে থাকে। একে বলা যায় মাইগ্রেন। এর অনেক লক্ষণ রয়েছে। স্নায়ুবিশারদ গনের মতে, মাইগ্রেনের হলে মারাত্নক ব্যথা হয়ে থাকে। পাশাপাশি ব্রেনের ক্ষতি করে থাকে। মাইগ্রেনের থেকে মুক্তি পেতে পর্যাপ্ত পরিমানে বিশ্রাম নিতে হবে।
অতিরিক্ত মানসিক প্রেসারে হেডেক
মানসিক চাপ বা অতিরিক্ত চিন্তায় মাথায় ব্যথা হলে তাকে টেনশন-টাইপ হেডেক বলা হয়ে থাকে। এ ব্যথা মাথার চারদিকে হালকা ভাবে অনুভূত হয়। মনে হয় যেন ব্যথা চেপে আছে। এ ব্যথা অঙ্কুরে বা সহজেই কমে যায়। কিন্তু পরিপূর্ণ সুস্থ হতে হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করতে হবে। তবে এসব সমস্যা নিয়ে বসে থাকলে চলবে না।
সাইনাস হেডেক হওয়া
আমাদের অনেকাংশের ক্ষেত্রে চোখের কারনে মাথা ব্যথা হয়ে থাকে। চশমা পরার ফলে যা ভাল হয়ে যায়। পাশাপাশি গালেও ব্যথা ব্যথা অনুভব হলে তা সাইনাস হেডেক বলে ধরে নিতে পারেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মাইগ্রেনের ফলেও মুখে ব্যথা হয়ে থাকে। সাইনাসের অন্য উপসর্গ গুলি হল: যেমন- দাঁত সমস্যা, ঘ্রাণ নিতে সমস্যা হয়।
হঠাৎ মাথা ব্যথা হওয়া
প্রায়ই হটাৎ করে আমাদের মাথা ব্যথা হয়ে থাকে। যা খুবই ক্ষতিকর। তবে গুরুতর মাথা ব্যাথার কমপক্ষে দশটি লক্ষণ আছে। যার প্রভাবে থান্ডারক্ল্যাপ হেডেক এর মতো অসুখ হতে পারে। থান্ডারক্ল্যাপ হেডেকের ব্যথা খুবই ভয়ংকর। যেটির ব্যথা বজ্রাঘাতের মত মনে হয়। এ ব্যথা কম হলেও ৪/৫ মিনিট হয়ে থাকে এবং আপনি এর কারন বোঝতেই পারবেন না। এ থেকে মুক্তি পেতে দ্রুত ডাক্তারের শনাপন্ন হন।
চোখের পিছনে ব্যথা
চোখের পিছনে ব্যথাকে বলা হয় ক্লাস্টার হেডেক।এক্ষেত্রে আপনার চোখের পিছনে কেউ খোচা বা ব্যথা দিচ্ছে বলে মনে হবে। তবে এই রোগে পুরুষরা নারীদের চেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। এই অসুখ হলে চোখে ব্যাথার পাশাপাশি চোখ লাল হয়ে যাবে, চোখ দিয়ে পনি পড়াসহ, চোখের পাতা বন্ধ হয়ে যাবে বলে মনে হবে। যার ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি অস্থিরতা অনুভব করবে এবং পর্যাপ্ত ঘুম হবে না।
অ্যালার্জি গত কারনে মাথা ব্যাথা
বৈচিত্র্যময় ঋতুর কারনে মানুষের দেহের নানা পরিবর্তন দেখা যায়। কোল্ড অ্যালার্জির কারনে অনেক সময় মানুষের ঠান্ডা জনিত অসুখ সহজে ভাল হতে চায় না।
যেমন: রানি নোজ, হাঁচি-কাশি জনিত সমস্যার কারনে মাথা ব্যথা হতে পারে। অ্যালার্জির কারন জেনে, সচেতনতার সাথে চলতে হবে। যার মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি মিলবে।
কপাল বা এর উপর অংশে ব্যথা
আকাশপথে বা বিমানে চড়ার ক্ষেত্রে কপালে বা এর উপর অংশে যে ব্যথা অনুভব হয় তাকে এঝলোয়ারপ্লেন হেডেক বলে। বলা যায় যে অধিকাংশ মানুষই উড়ালপথে ভ্রমনের সময় এ রোগে ভোগে। এমতাবস্থায় মাথা ব্যথা হলে অবশ্যই আপনাকে মানসিক ভাবে সুস্থ থাকতে হবে। অর্থাৎ হাসি খুশি থাকতে হবে। আনন্দ-উল্লাসে মেতে থাকতে হবে। কোন প্রকার চিন্তা করা যাবে না।
0 Comments