মাথা ব্যথা কম বেশি কিংবা কোন একদিন হলেও সকলের হয়ে থাকে। তবে সাধারন ভাবে আমাদের দুশ্চিন্তার কারনে মাথা ব্যথা হয়ে থাকে। এতে ভয়ের কিছু নেই পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমালে বেশিভাগ ক্ষেত্রে মাথা ব্যথা ভালো হয়ে যায়। অতিরিক্ত ধূমপান, ব্যথানাশক ওষুধ ও পানি কম খাওয়ার কারনে মাথা ব্যথা হয়ে থাকে।
মাথা ব্যথা নিরাময়ের অনেক ঔষধ থাকলেও এগুলোর অনেক পার্শ-প্রতিক্রিয়া রয়েছে। এক কথায় বলা যায় অতিরিক্ত পরিমানে ব্যথার ঔষধ দেহের জন্য মারাত্নক ক্ষতিকর। তার মানে এই নয় যে আমরা ঔষধ সেবন করব না। আমরা ঔষধ কেবলমাত্র ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করব।
মাথা ব্যথা থেকে রক্ষা পেতে ঘরোয়া সকল উপায়:
আদা
আদা মানবদেহের অত্যান্ত উপকারী খাদ্য। মাথার রক্তনালির রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। ফলে রক্ত সঠিকভাবে চলাচল করতে পারে এবং মাথা ব্যথা কমে থাকে।
এক টেবিল চামচ আদার রস ও লেবুর রস ভাল ভাবে মিশিয়ে পান করুন। যখন মাথা ব্যথা হয় সে দিন দুই বার পান করুন। এতে সুফল পাবেন।
যদি আপনার কাছে শুকনো আদার গুড়ো থাকে, তবে দুই চ-চামচ পানির সুন্দর ভাবে মিশিয়ে নিন। কয়েক মিনিট এটি কপালে লাগিয়ে রাখুন। এতে মাথা ব্যথা উপষম হবে। এ ছাড়া আদা চা খেতে পারেন।
তাছাড়াও ম্যথা ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে অল্প একটু আদা মুখে নিয়ে চিবুতে পারেন।
পুদিনা পাতার রস
পুদিনা পাতায় থাকা ম্যানথল মাথা ব্যথা নিরাময়ে খুবই কার্যকরী।
পুদিনা পাতার রস খাওয়ার কথা অবশ্যই আমরা বড়দের কাছে শুনেছি। এ পাতার রস খেতে পারেন।
আমরা সাধারন যেভাবে আদা চা খাই সেভাবে পুদিনার চাও খেলে মাথা ব্যথা কমবে। এক্ষেত্রে বেশি পুদিনা পাতা দেয়া যাবে না।
মাথা ব্যথা কমানোর উপায়
১. হাত দিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন, এতে সাময়িক সময়ের জন্য মাথা ব্যথা কমবে ও ক্লান্তি দূর হবে।
২. অতিরিক্ত আলোতে থাকার কারণেও মাথাব্যথা হতে পারে।এজন্য মাথা ব্যথা করলে লাইট নিভিয়ে বা কমিয়ে নিন।
৩. আপনার যদি মাথা ব্যথা থাকে তবে অবশ্যই কম্পিউটার, ল্যাপটপ, টিভি ও মোবাইল ফোন থেকে অনেক দূরে থাকুন।
৪. মাথা ব্যথা হলে সবচেয়ে বেশি উপকারী হবে ঘুমানো।
৫. চা-কফি জাতীয় খাবার খেতে পারেন। এতে মাথা ও দেহ হালকা হবে।
মাথা ব্যথা হলে নিকটস্থ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করুন।
1 Comments
So amazing
ReplyDelete