breathing problem causes


    মানবদেহে সবচেয়ে যন্ত্রনাদায়ক অসুখগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হল শ্বাসকষ্ট। প্রথম অবস্থায় এর চিকিৎসা থাকলেও দীর্ঘমেয়াদি ঔষধ সেবন করতে হয়। শ্বাসকষ্ট হয়ার বিশেষ কিছু কারন থাকে। এসকল কাজ থেকে বিরত থাকলে শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। নিচে শ্বাসকষ্ট হওয়ার করনগুলো দেয়া হল:



    ১. ঘন শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহন বা ত্যাগ করলে, শ্বাসের গতি বৃদ্ধি পেলে, দম নিতে কষ্ট হলে, আমরা মনে করি আমাদের শ্বাস কষ্ট হয়েছে। তবে শ্বাস নেয়ার এই সমস্যাগুলো কোনো অসুখ নয়, উপসর্গ।




    ২. শ্বাসকষ্টের প্রথম পর্যায় হলো হৃদ্‌রোগ ও ফুসফুসের অসুখ। এসব রোগ খুবই মারাত্মক বলে, আমরা আতংকে থাকি। মূলত জোরে শ্বাস না নিয়ে দম আটকে রাখলে ফুসফুসে পর্যাপ্ত বাতাস প্রবেশ করতে পারে না। যার ফলে রক্তের কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমান বৃদ্ধি পায় এবং অস্বস্তি অনুভব হয়।




    ৩. হৃদপিন্ড রোগে আক্রান্ত হলে হৃদপেশি সংকোচন ক্ষমতা হৃাস পায়, যার ফলে ফুসফুসের মধ্যে রক্ত জমে যায় এবং মাঝে মাঝে ফুসফুসে পানি জমে যায়। ফলশ্রুতিতে শ্বাসকষ্ট হয়।



    ৪. যখন হাঁপানি হয় তখন ফুসফুসে নল সরু বা চিকন হয়ে যায়। ফলে খুব জোরে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহন করতে হয়। নিউমোনিয়া হলেও শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়। রক্তে পিএইচ মান কমলে শ্বাসকষ্ট হয়। রক্তে অ্যাসিড জমা শ্বাসকষ্টের অন্যতম কারন।



    ৫. মাঝে মাঝে শ্বাস নিতে কষ্ট বা কোনটি প্রকৃত শ্বাসকষ্ট তা বোঝা যায় না। ঘন শ্বাস নেয়া, শ্বাস নেয়ার সময় ছটফট করা। এই লক্ষনের সঠিক অসুখ আমরা খুজে পাচ্ছ না। মূলত হাইপারভেন্টিলেশন সিনড্রোম হলে এই সমস্যা হয়।




    ৬. দেহে মেটাবলিজম এর হার বেড়ে গেলে নিশ্বাসের মাত্রা বেড়ে যায়। তাছাড়া হাইপারভেন্টিলেশন সিনড্রোমের ফলে হওয়া শ্বাসকষ্ট কেবল চিকিৎসার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায়। অন্যথায় সাধারন ভাবে আমরা যেটা মনে করি তা মনের রোগ।




    ৭. রক্তে ক্ষারের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া শ্বাসকষ্টের অন্যতম কারন। রক্তের কার্বন ডাই-অক্সাইড বাড়লে ক্ষারের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি শ্বাস নিলে এ সমস্যা হয়।




    ৮.ভয় পেলে বা উত্তেজিত হলে ৫০ % ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট অনুভব হয়ে থাকে। যার শারীরিক কোনো প্রকার অসুখ দেখা যায় না। এ ছাড়া বাকি সকল মানুষের শারীরিক সমস্যার কারনে শ্বাস কষ্ট হয়ে থাকে। নারীদের ক্ষেত্রে এ রোগ বেশি দেখা যায়।




    মানসিক বা শারীরিক কোন কারনে শ্বাসকষ্ট হয় তা কেবল মাত্র সঠিক পরীক্ষা–নিরীক্ষা মাধ্যমে জানা যায়। তাই শ্বাসকষ্ট যেমনই হয় না কেন দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।




    Post a Comment

    0 Comments