স্বাস্থ্যের সুস্থতা সবচেয়ে বড় নেয়ামত। কেবল অসুস্থ ব্যক্তি বুঝতে পারে সুস্থতা কতটুকু জরুরি। বিভিন্ন উৎসব, অনুষ্ঠানে আমরা নানা রকম খাবার খেয়ে থাকি। লোভনীয় এই সকল খাদ্য খাওয়া থেকে আমরা বিরত থাকতে পারি না। কিন্তু স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে খাদ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই আমাদের সকলের কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিৎ। এজন্য আমাদের নিয়মিত জীবনের কিছু পরিবর্তন করা জরুরি। আমাদের সকলেরই খাদ্যের পরিমাণ এর ক্যালরির সম্পর্কে সতর্ক থাকা উচিৎ।আমাদের চাহিদা অসীম হওয়ার কারনে, চাহিদা পূরনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। সারা দিন ব্যস্ত থাকার কারনে ব্যায়াম করা হয় না বললেই চলে। শরীরে অতিরিক্ত মেদ বা ভুরি কমাতে ব্যায়ামের বিকল্প নেই। আমরা নিজেরাই নিজেদের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। তবে এজন্য খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকলে বিপরীত ঘটনা ঘটবে। তাই আমাদের অতিরিক্ত ক্যালোরি ব্যায়ামের মাধ্যমে জড়িয়ে ফেলতে হবে।
জিমে গিয়ে ব্যায়াম ছাড়াও যে সকল উপায়ে আমরা স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে পারি তা হল:
১। প্রতিদিন সকালে ৩০ মিনিট বা সম্ভব হলে তার চেয়ে বেশি জগিং করা।
২। দৈনিক ২০-৩০ মিনিট সাইকেল চালানো বা অল্প দূরত্বে পায়ে হেঁটে যাওয়া।
৩। সিঁড়ি দিয়ে ভবনে উঠার অভ্যাস করুন।
৪। হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
৫। অতিরিক্ত সময় এক জায়গাতে থাকার অভ্যাস ত্যাগ করুন।
৬। বসে থাকার পরিবর্তে কোন কাজ করুন।
৭। গ্রিন-টি খাওয়ার অভ্যাস করুন।
৮। নিজের কাজ নিজেই করে ফেলুত। এতে আপনি অনেকটা ফিট থাকতে পরবেন।
৯। স্পাইসি জাতীয় খবার খেতে পারেন।
১০। ফ্যাট বা তেল-চর্বি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া কমিয়ে দিন। এবং এসব খাওয়ার পর শীতল খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
১১। খাবার আস্তে আস্তে, ভালভাবে চিবিয়ে খাবার খান।
১২। কোমল পানীয় বা সফট ড্রিংস পান করা থেকে বিরত থাকুন।
১৩। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমান ঘুমান।
১৪। সম্ভব হলে দড়ি লাফ দিতে পারেন ২০ মিনিট।
১৫। কোন সারঞ্জাম ছাড়া ঘরে বসে যে সকল ব্যায়াম করা যায় তা করুন।
১৬। চিনি কিংবা মিষ্টি জাতীয় খাবার সম্পূর্ণ ত্যাগ করুন।
১৭। প্রতিদিন শসা খেতে পারেন ১ কেজি পরিমান।
১৮। প্রতিদিন পরিমানমত মাছ খান।
১৯। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা থেকে বিরত থাকুন।
২০। হাসি খুসি থাকার অভ্যাস তৈরি করুন।
0 Comments