প্রায় সব মানুষই ওজন নিয়ে চিন্চিত। অনেকে ওজন কমানোর নিয়ে আবার কেউ কেউ ওজন বাড়ানো নিয়ে চিন্তায় ভোগছে। তবে খুব কম লোকই খুজে পাওয়া যাবে, যাদের শরীরের ওজন নিয়ে ভাবনা নেই। ওজন বাড়ানোর জন্য অনেকেই বিভ্রান্ত কিংবা ব্যতিব্যস্ত হয়ে থাকেন। যদিও সবাই ওজন কমিয়ে ঝরঝরে থাকতে চাইলেও অতিরিক্ত ওজন কমা ভালো নয়। তাই কিছু লোক তাদের ওজন বাড়াতে খুবই আগ্রহী। আপনার যদি কোনো অবস্থায় ওজন না বাড়ে? কিংবা অতিরিক্ত ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরও ওজন বাড়ছে না। হতাশায় ভোগার কোন কারন নেই। নিশ্চয়ই এই সমস্যার সমাধান রয়েছে। ওজন কমানো যতটা কঠিন কাজ, তেমনি ওজন বাড়ানোও খুব কষ্টকর। কিছু নিয়ম মেনে চললে খুব সহজেই মোটা হওয়া সম্ভব। চলুন জেনে নেয়া যাক ওজন বাড়ানোর সহজ উপায়।
Way to get fat in a week
১. সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা ব্যায়াম করে নিন। এর ফলে দেহে রক্ত চলাচল ভাল ভাবে হবে এবং এর পাশাপাশি খিদা বৃদ্ধি।
২ সকালের নাস্তায় দুধ অথবা মাখন বেশি পরিমানে খান। শরীরে ওজন বৃদ্ধি করতে এগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৩. প্রোটিন হচ্ছে এনার্জির অন্যতম উৎস। এজন্য ওজন বাড়াতে বেশি পরিমানে ডাল, মাছ, মাংস এবং ডিম খাওয়া জরুরি।
৪. রাতে কিচমিছ ভিজিয়ে রেখে তা সকালে খেয়ে নিন। সাত দিন একটানা খাওয়ার পর পরিবর্তন দেখতে পাবেন।
৫. চিকন থেকে মোটা হওয়ার জন্য সবচেয়ে ভাল একটি উপায় হল আখের রস। এতে থাকা প্রচুর পরিমানে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট দেহের ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
৬. কলা দেহকে সুস্থ ও শক্তি যোগাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ৪-৫ টি কলা খেলে আপনার দেহের ওজন খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়াও দুধ আর কলা দিয়ে ভাত কিংবা জুস বানিয়ে খেতে পারেন।
৭. আলু মানবদেহের পুষ্টি উপাদান অনেকাংশে পূরন করে থাকে। তাই আলু বেশি পরিমানে খাওয়া শুরু করুন। আলুতে থাকা কার্বোহাইড্রেট শরীরে জন্য খুবই উপকারী। যা দেহের ওজন বৃদ্ধি করে। খুব দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করতে রান্নায় সরিষার তেলের পরিবর্তে নারকেল তেল ব্যবহার করা শুরু করুন।
৮. দুধ, দই জাতীয় খাবার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে। এগুলোতে থাকা ফ্যাটি এসিড খুব তাড়াতাড়ি ওজন বাড়ায়।
৯. বেশি সময় ঘুমালে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায়। যেমন: ৮ ঘন্টা কিংবা তার চেয়ে বেশি ঘুমানো প্রয়োজন।
১০. প্রচুর পরিমানে খেজুর খেলে দেহের ওজন বৃদ্ধি পায়। দুধের মধ্যে খেজুর দিয়ে ফুটিয়ে রাতে ঘুমানোর পূর্বে খেয়ে নিন।
উপরোক্ত কাজগুলো নিয়মিত করার মাধ্যমে এক সপ্তাহের মধ্যেই আপনার দেয়ের পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন।
বি: দ্র: শরীরের গঠন অনুযায়ী কিছু কিছু মানুষের দেহে বিভিন্ন রকম ফল হতে পরে। তাই প্রয়োজনে নিকটস্থ ডাক্তারের বা বিশেষজ্ঞের নির্দেশনা মেনে চলুন।
0 Comments