ড্রাগন ফলের নাম পূর্বে না শুনা গেলেও বর্তমানে এর চাষ এবং চাহিদা বেড়েছে। কেননা ড্রাগন ফলের অনেক উপকারিতা রয়েছে। ড্রাগন ফলের চাষ বেশি হওয়ার কারন হল এর চাহিদা। আর ড্রাগন ফলের চাহিদা বৃদ্ধির কারন হল এর পুষ্টিগুণ।
ড্রাগন ফল মূলত গ্রীষ্মকালে হয়ে থাকে। এর চাষ পদ্ধতি খুব সহজ। তবে রোদ আছে এমন স্থানে ড্রগন ফলের চাষ করতে হয়। ড্রগন ফলের চামড়া লাল রং এর হয়ে থাকে। তবে কিছু কিছু ড্রাগন ফলের ভিতর সাদা হয়, আবার কিছু ড্রাগন ফলের ভিতরটা লাল হয়। ড্রাগন ফল খেতে সুস্বাদু। ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমানে পু্ষ্টিউপাদান থাকায়, এটি আমাদের দেহের জন্য প্রয়োজনীয়।
ড্রাগন ফলের উপকারিতা
স্বাদের দিক দিয়ে ড্রাগন ফল মিষ্টি ও রসালো হয়ে থাকে। ড্রাগন ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমানে ক্যালরি, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও চিনি বিদ্যমান রয়েছে। যা আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী। ড্রাগন ফল খেলে দেহের বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি মেলে।
ড্রাগন ফলে বিদ্যমান পু্ষ্টিউপাদান
১) ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের ক্যানসার, হৃদরোগ ও ডায়বেটিস প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। যা রেডিকেল নামক অস্থির অণু মোকাবেলা করে, দেহের কোষের ক্ষতি রোধ করে।
২) ড্রাগন ফলে আয়রন রয়েছে প্রচুর পরিমানে। এই আয়রন বা লৌহ আমাদের দেহে অক্সিজেন পরিবহনে সাহায্য করে। তাই আমরা নিয়মিত ড্রাগন ফল খেতে পারি।
৩) ম্যাগনেসিয়াম এর পরিমান ড্রাগন ফলের অন্যান্য ফলের তুলনায় বেশি। ম্যাগনেসিয়াম মানবদেহে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। ম্যাগনেসিয়াম আমাদের দেহের ৬০০ টির বেশি রাষায়নিক বিক্রিয়ায় অংশ নেয়।
৪) ড্রাগন ফল শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। ইমিউন সিস্টেম সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও ড্রাগন ফল দেহের শ্বেত রক্তকণিকাকে বিভিন্ন ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে থাকে।
৫) ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার। এবং ড্রগন ফল সম্পূর্ণ চর্বিমুক্ত। ড্রাগন ফলে থাকা ফাইবার আমাদের দেহের রক্তে সুগারের পপরিমান কমায়।
এছাড়াও ড্রাগন ফল দেহের অগ্নাশয়ের ক্ষতিগ্রস্ত কোষ প্রতিস্থাপন করে, ইনসুলিন তৈরি করে। ড্রাগন ফলের এই সকল উপকারিতার কারনে, আমরা নিয়মিত ড্রাগন ফল পরিমান মত খেতে পারি।
0 Comments