দুধের উপকারিতা জানুন



    পৃথিবীর সব খাদ্যের মধ্যে তালিকা করলে দেখা যাবে দুধ শ্রেষ্ট খাদ্য। দুধের উপকারিতার পাশাপাশি এর পু্ষ্টি অনেক। দুধের বিপুল উপকারিতার জন্য এটি সব খাদ্যের চেয়ে সেরা। দুধের উপাকারিতা গুলো হল: আমিষ ও ল্যাকটোজ- যা দৈহিক গঠনে সহায়তা করে থাকে, এটি দেহের বিকাশ ও মেধা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য দুধ অন্যতম উপাকারী খাদ্য।




    দুধের পু্ষ্টি উপাদান 

    দিনে আমরা যত পুষ্টিকর খাবার খেয়ে থাকি, এর মধ্যে নিঃসন্দেহে দুধের উপকারিতা সব থেকে বেশি। ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি এর অন্যতম উৎস দুধ। দুধে রয়েছে:

    ১. পানি রয়েছে ৮৭.৭ গ্রাম। 

    ২. খাদ্যশক্তি ৬৪ কিলো ক্যালরি পরিমানে বিদ্যমান।

    ৩. আমিষের পরিমান ৩.৩ গ্রাম। 

    ৪. এ্যাশ আছে ০.৭ গ্রাম।

    ৫. ফ্যাট ৩.৬ গ্রাম পরিমান আছে। 

    ৬. কোলেস্টেরল এর পরিমান ১১ মিলিগ্রাম। 

    ৭. ১৪৪ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম রয়েছে।

    ৮. ভিটামিন-এ আছে ১৪০ আই ইউ।

    ৯. সোডিয়াম ৪৩ মিলিগ্রাম।

    ১০. ম্যাগনেসিয়াম এর পরিমান ১০ মিলিগ্রাম।

    ১১. ক্যালসিয়াম ১১৩ মিলিগ্রাম পরিমান রয়েছে।

    স্বাস্থ্য সুস্থ্য রাখতে দুধের ভূমিকা

    দুধ আমাদের মানসিক চাপ দূর করার পাশাপাশি শরীরে শক্তি যোগায়। দুধের উপকারিতা যেন শেষ নেই, এটি আমাদের দাঁত (teeth)ও হাড় (bones) শক্ত করে। মাংসপেশি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে দুধ। দুধ মানবদেহে হজম শক্তি বাড়ায় এবং চুলের প্রয়োজনীয় পু্ষ্টি উপাদান যোগায়। মানবদেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও দুধ অত্যান্ত ভূমিকা পালন করে।
    ছোট শিশু থেকে সব বয়সের মানুষের দেহের দুধ উপাকারী। তাই বৃদ্ধ কিংবা ছোট সবাইকে নিয়মিত দুধ খাওয়া জরুরী। দুধ দেহের ক্লান্তি দূর করে, মন ভাল রাখে। 

    দুধের সকল উপকারিতা

    ১. দুধে থাকা ক্যালসিয়াম আমাদের দেহের দাঁত ও হাড় মজবুত রাখে। দাঁত ক্ষয়, দাঁতে পোকা ও দাঁত হলুদ হওয়া বর্তমানে বেশি লক্ষণীয় সমস্যা। দৈনিক পরিমান মত দুধ পান করলে এ থেকে মুক্তি মিলে। 

    ২. দুধ অধিক সময় পর্যন্ত খিদা নিবারণ করে থাকে। খাবারের পর পরিমান মত দুধ পান করলে তা পেটে অনেকক্ষন থাকে। আপনি যদি ওজন কমাতে চান, তবে ডায়েটে দুধ যোগ করুন। 

    ৩. দুধে বিদ্যমান পু্ষ্টি উপাদান ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দূর করে।

    ৪. দুধে রয়েছে পরিমান মতো ভিটামিন ও মিনারেল। যা দেহ সুস্থ্য রাখার পাশাপাশি মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দেয়। অনেকেরই ঘুম হয় না, ফলে মাথা ব্যাথা সহ না সমস্যা দেখা দেয়। দুধ পান করলে ঘুম সঠিক ভাবে হয়। 

    ৫. কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা সম্পর্কে কম বেশি আমরা সকলেই জানি। দুধ নিয়মিত পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে রক্ষা হয়।

    ৬. প্রোটিন সম্পর্কে প্রায় আমরা সবাই পরিচিত। প্রোটিন দেহের মাংশপেশির গঠন করতে ভূমিকা পালন করে থাকে। দুধে প্রচুর পরিমান প্রোটিন বিদ্যমান আছে। আপনি প্রতিদিন ব্যায়াম করছেন? তাহলে আপনা দুধ খাওয়া খুব জরুরী।

    ৭. প্রতিদিন নিয়ম অনুযায়ী দুধ পান করলে গ্যাস্ট্রিক ও এসিডিটি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

    ৮. দুধে রয়েছে ভিটামিন এবং মিনারেল। যেটি আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এবং দুধ আমাদের দেহকে করে তুলে শক্তিশালী। 

    ৯. দুধে প্রচুর পরিমান ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম রয়েছে। ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামের অভাবে প্রি-মেনস্ট্রুয়াল সিন্ড্রোম হয়ে থাকে। তাই নিয়ম মেনে দুধ খেতে হবে।

    দুধের অপকারিতা

    দুধের অপকারিতা বলতে সাইড এফেক্ট বা মানবদেহে ক্ষতি করে এমন নয়। কিছু ব্যাক্তি বা অসুখ হলে দুধ যাবে না। কিডনিতে পাথর হলে দুধ পান করা থেকে এড়িয়ে চলতে হবে। 'ল্যাক্টেজ' একটি এনজাইম। যাদের শরীরে এই এনজাইমের ঘাটতি রয়েছে, তারা দুধ থেকে বিরত থাকুন। যারা আলসার রোগে আক্রান্ত তারা দুধের ব্যাপারে সচেতন হউন। যাদের শরীরে কোনো অপারেশন বা ঘা আছে তারা দুধ পানের বিষয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। যারা আয়রনের ঔষধ খাচ্ছেন, তা দুধ এড়িয়ে চলুন।

    Post a Comment

    0 Comments