দাঁত প্রানীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় সম্পদ। বিষেশ করে আমাদের মানুষের দাঁত ছাড়া যেন জীনব মূল্যহীন। কিন্তু আমাদের দাঁতের ক্ষয় ও দাঁতের ছিদ্র হওয়া এখন প্রায় সবারই হতে দেখা যায়। শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে মূলত এটি আমাদের চোখে একটু বেশি পরে। দাঁতের ক্ষয় হওয়ার অন্যতম কারন হল ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ। মাত্রারিক্ত স্ন্যাক্স ও ড্রিঙ্কস পান করা দাঁতের জন্য খুব ক্ষতিকর। আমরা প্রতিনিয়ত নানা ধরনের খাবার খেয়ে থাকি। আর এইসব খাবারের কনা যদি আমাদের দাঁতে দীর্ঘসময় ধরে লেগে থাকে, তখনই ব্যাকটেরিয়া সহ নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। তাছাড়াও ফ্লোরাইড এর ঘাটতি, মুখ শুকনো অবস্থায় থাকা, পুষ্টি উপাদানের অপর্যাপ্ততার ফলে দাঁতে গর্ত, দাঁত ক্ষয়সহ অন্যান্য সমস্যা হয়।
আমাদের অনেকেরই দাঁতে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন কারনে দাঁতে গর্তের সমস্যা হতে পারে। তার মধ্যে অন্যতম হল দাঁতের ক্ষয় হওয়া অথবা দাঁত ভেঙে যাওয়া ও দাঁতে রুট করার চিকিৎসার সময় দাঁতে গর্তের সৃষ্টি হয়। আমাদের দাঁতে যখন গর্ত হয় তখন গর্তে খাবার জমে বিভিন্ন সংক্রমণ সৃষ্টি হয়। এবং ঠিক তখনই দাঁতে শিরশির অনুভূতি থেকে শুরু করে ব্যাথা হয়ে থাকে। বিশেষ করে যখন শিশুদের দাঁতে এরকমের গর্ত সৃষ্টি হয়, তারা শিরশির অনুভূতির সাথে প্রচন্ড ব্যাথা পায়।
প্রাথমিক অবস্থায় আমরা সকলেই দাঁতের গর্তকে অবহেলা করে থাকি। কেননা তখন এই গর্ত কালো বর্ণ ধারন করে এবং দাঁতে কোন ব্যাথা ও শিরশির অনুভব হয় না। যখন বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি হয়ে দাঁত ব্যাথা করতে শুরু করে তখনই আমরা সতর্ক হই। এবং ডাক্তারের শনাপন্ন হই। রোগীর দাঁত ভেঙে গেলে রোগী তা অনেকাংশেই অনুভব করে।
দাঁতের চিকিৎসায় রুট ক্যানেল করলে অবশ্যই পরসেলিন ক্রাউন বা মুকুট পরে নিতে হবে। তা না হলে দাঁতে মধ্যে থাকা গর্ত আরো বড় হয়ে যায়। এবং ধীরে ধীরে রুট ক্যানেল নষ্ট হয়ে যায়।
দাঁতে গর্ত হয়েছে এমনটি মনে হলে কিংবা বোঝতে পারলে দ্রুত ডাক্তারের নিকট যান। কেননা এই গর্ত হওয়া স্থান খুব দ্রুত পূর্ণ করে না নিলে এটি আরো গর্তের সৃষ্টি করবে। আর গর্ত বৃদ্ধি পেলে দাঁতে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব হবে।কোন কিছু খেলেও দাঁগে শিরশিরসহ ব্যাথা হবে। এমনকি তখন চিকিৎসাও খুব কঠিন ও ব্যয়বহুল হয়ে পরে।
ফিলিং কিংবা লাইট কিউব করে ভেঙে যাওয়া দাঁতকে সম্পূর্ণরূপে পূরণ করা যায়। যা দেখে আপনি বোঝতেই পারবেন না দাঁতে কোন কিছু করা হয়েছে কি না। দাঁত রুট ক্যানেল করলে সাথে সাথে ক্রাউন বা মুকুট বসিয়ে নিন।
ক্যাভিটি থেকে মুক্তি পেতে ৫ টি উপায়:
১. নিয়মিত দাঁত দুই বেলা ব্রাশ করতে হবে। সকালে নাস্তার পর ও রাতে ঘুমানোর সময়।
২. চিনি আছে এমন খাবার, কফি, আঠাযুক্ত খাবার, অম্ল জাতীয় খাবার থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।
৩. প্রতিবেলা খাবারের পরে মুখ কুলি করে নিতে হবে। যেন দাঁতে কোন খাবার না লেগে থাকে।
৪. ব্রাশ করার পাশাপাশি সুতো এর মাধ্যমে দাঁতের ফাঁকা অংশ পরিষ্কার করুন।
৫. ধূমপান থেকে সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকতে হবে।
কিছুদিন পর পর দাঁতে কোন সমস্যা আছে কি না তা জানতে দাঁত পরীক্ষা করুন।
0 Comments