বয়স যতই বৃদ্ধি পায় মানুষের পরিবর্তনও ধীরে ধীরে হতে থাকে। তার মধ্যে অন্যতম একটি পরিবর্তন হল স্মৃতিশক্তি। আমদের সব বয়সের মানুষেরই মোটামোটি ভুলে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। যখন ভুলে যাওয়ার প্রবণতা খুব বেড়ে যায় কিংবা স্বাভাবিক অবস্থায় না থেকে জীবনযাপনে বেশি মাত্রায় প্রভাব ফেলে, তখনই তাকে বলা হয় স্মৃতিভ্রম। এর অন্য একটি নাম হল ডিমেনশিয়া। বিভিন্ন কারণে এই ডিমেনশিয়া কবলে আপনি পড়তে পারেন। অ্যালঝেইমার ডিজিজ নামক এই সমস্যার ফলে স্মৃতিভ্রম বা ডিমেনশিয়া হয়ে থাকে। তাছাড়াও থাইরয়েড, ভিটামিনের অভাব, ডায়াবেটিসের মাত্র বৃদ্ধি ও মস্তিষ্কে রক্ত ঠিক ভাবে না চলাচল করতে পারার জন্য এটি হতে পারে। কিছু কিছু বিশ্লেষক এর জন্য খাদ্যাভ্যাসকে দায়ী করেছেন। খাদ্যাভ্যাস সব দিক দিয়েই মানবদেহের বিপুল পরিবর্তন ঘটিয়ে থাকে।
১. সবুজ রঙের শাক-সবজি, যেমন পালং শাক, ডাটা শাক, পুইশাক, কলমি শাক ও আরো নানা শাক আমাদের দেহের জন্য খুব উপাকারী। এগুলো কগনিশনের পতন থেকে আমাদের রক্ষা করে। এছাড়াও বিভিন্ন সবজি যেমন: ফুলকপি, বাঁধাকপি, গাজরে রয়েছে প্রচুর ফলেট। এসব আমাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
২. সামুদ্রিক মাছ কম বেশি আমরা সবাই খেয়েছি। এইসব মাছে যে তেল বিদ্যমান, তাতে ওমেগা৩ ফ্যাট রয়েছে। এটি আমাদের মস্তিষ্কের অনেক উন্নতি ঘটায়।
৩. বাদাম আমাদের অনেকেই প্রিয়। কয়েক ধরনের বাদাম রয়েছে যেমন: চিনাবাদাম, আখরোট ও কাজুবাদাম। যাতে বিদ্যমান ভিটামিন বি ৬, মেগা ৩ ও ওমেগা ৬ ফ্যাট। যা আমাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে অনেক ভূমিকা পালন কারে।
৪. স্ট্রবেরির সাথে কম বেশি আমরা সবাই পরিচিত। স্ট্রবেরিও ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রম রোধে অত্যান্ত প্রয়োজনীয় উপাদান। যা সাহায্য করে মস্তিষ্কের মধ্যে সংকেত আদান–প্রদানে।
৫. সূর্যমুখী তেল হয়তো আমরা অনেকে ব্যবহার করে থাকি। কুমড়ার বীজ ও এই তেলে রয়েছে অনেক পরিমান ভিটামিন ই, কোলিন ও জিংক মতো উপাদান। এক্ষেত্রে সূর্যমুখীর তেল রান্নায় ব্যবহার করা উত্তম।
৬. ডিমের পছন্দ করে না এমন মানুষ খুজে পাওয়া খুবই কষ্টকর। ডিমের কুসুমে রয়েছে নিউট্রিয়েন্ট কোলিন, এটি স্মৃতিশক্তি নষ্ট হওয়া প্রতিরোধ করে। গ্রিন–টি আমাদের দেহের জন্য খুব উপাকারী। এটিও ডিমেনশিয়া থেকে আমাদের রক্ষা করে।
0 Comments